দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) থেকে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ার পর থেকেই জনগণের নানা হয়রানি ও ভোগান্তির কথা পার্লামেন্টে জোর গলায় উচারণ করে আসছেন এই এমপি।
শুধু তাই নয়, একজন এমপি হিসেবে সরকারি যে টাকা বরাদ্দ পান সেটিও ফেসবুকে পোস্টের মাধ্যমে সবাইকে জানিয়ে দেন তিনি। এ কারণে প্রশংসাও পান ব্যারিস্টার সুমন।
বরাদ্দের টাকা অন্য এমপিরা গোপন রাখলেও কেন জনগণকে জানিয়ে দিচ্ছেন এ নিয়ে সম্প্রতি গণমাধ্যমের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেছেন ব্যারিস্টার সুমন।
সরকার থেকে বরাদ্দ পাওয়া টাকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেন পোস্ট করেন? এমন এক প্রশ্নের জবাবে সুমন বলেন, জানার অধিকার তো সবার আছে। যদি এটা আমরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, তাহলে আমি একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমার আসনের জনগণকে জানানোর আমার দায়িত্ব। কারণ আমাকে ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি বানিয়েছে জনগণ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমার কাজকর্ম দেখেই মানুষ আমাকে ভোট দিয়েছে।
তিনি আরও যোগ করেন, বাজেট যদি আপনার কাটছাঁট করার ইচ্ছা না থাকে, তাহলে জনগণের টাকা জনগণকে হিসাব দেব না? জানালে সমস্যা কোথায়? জনগণ জানলে সমস্যা এক জায়গায়, সেটি হচ্ছে টাকা মেরে দিতে অসুবিধা। কোনো জিনিস লুকানোর অর্থই হলো এখানে মেরে দেওয়ার চিন্তা, এটিই আমি মনে করি। বাজেট তো আমার বাপের টাকা না। আমি তো চাই, আমার বাবা যে সম্পত্তি রেখে গেছেন সেটিও মানুষ জেনে যাক।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।